চট্টগ্রাম বন্দর আবারও সচল হল
হামুনের প্রভাবে প্রায় ২৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল
চট্টগ্রাম বন্দর পুরোদমে আবারও সচল হলো। ঘূর্ণিঝড় হামুন’র প্রভাবে প্রায় ২৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে জেটি ও ইয়ার্ডে কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান,জেটিতে জাহাজ প্রবেশের পাশাপাশি পণ্য ওঠানামাও শুরু হয়েছে। তবে সাগর উত্তাল থাকায় লাইটারেজ জাহাজ চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। এ কারণে বর্হিনোঙ্গরে পণ্য ওঠানামা এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুন’র আঘাতের আশঙ্কায় গতকাল মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম বন্দরে ‘অ্যালার্ট-থ্রি’ জারি করা হয়েছিল। জেটিতে অবস্থানরত সকল জাহাজকে গভীর সাগরে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের মোট ২২টি জাহাজকে জেটি থেকে চলে যেতে হয়েছিল। এর মধ্যে ১৩টি জাহাজ আবার ফেরত এসেছে। সকাল ১০টা থেকে জোয়ারের মধ্যে পর্যায়ক্রমে জাহাজগুলো ফিরে আসে। বাকি জাহাজগুলো দুপুরের পর জোয়ার শুরু হলে ফিরবে। এ মুহূর্তে বন্দরের কার্যক্রমে কোনো সমস্যা নেই। জেটি ও ইয়ার্ডে পণ্য পরিবহন, ওঠা-নামা স্বাভাবিকভাবে চলছে।’
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে রাত ১টার দিকে ঘূর্ণিঝড় হামুন স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবার সম্ভাবনা নেই। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় মাছ ধরার ট্রলারসহ সকল নৌযানকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিরাপদে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সাগর উত্তাল থাকায় লাইটারেজ জাহাজ বন্দরের বহির্নোঙ্গরে গভীর সাগরে যেতে পারছে না বলে জানিয়েছে ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন সেল (ডব্লিউটিসি)।
লাইটার জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী মাহবুব রশীদ বলেন, ‘আউটার থেকে মাদার ভ্যাসেলগুলো গভীর সাগরে নিরাপদে অবস্থান নিয়েছিল। সেগুলো ফিরলেও লাইটার জাহাজ আউটারে পাঠানো যাচ্ছে না। সাগর খুব উত্তাল। আশা করছি, সন্ধ্যার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’