চট্টগ্রামে গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ শুরু
দুপুরের পর স্বাভাবিক হতে শুরু করবে
কক্সবাজারের মহেশখালীর ভাসমান টার্মিনাল থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ শুরু হয়েছে। শনিবার ( ২০ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামে সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টা থেকে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ঘনফুট করে সরবরাহ শুরু করা হয়।
গ্যাস সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু সাকলায়েন। তিনি জানান, ‘চট্টগ্রামের গ্রাহকরা গ্যাস পেতে শুরু করেছেন। দুপুর থেকে স্বাভাবিক চাপে গ্যাস সরবরাহ শুরু হতে পারে।’
পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইন্স) মো. কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘এলএনজি থেকে রূপান্তরিত গ্যাস পাইপলাইনে সরবরাহ শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে চাপ বাড়ছে, সরবরাহও বাড়তে শুরু করেছে।’
এর আগে রক্ষণাবেক্ষণ শেষে আনা মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির এলএনজি টার্মিনাল সময়মতো চালু করতে না পারায় গতকাল দেশের পূর্বাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটির কারণে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জসহ ৬ জেলায় গ্যাস সরবরাহে বিপর্যয় দেখা দেয়। বিতরণ কোম্পানির আগাম বিজ্ঞপ্তি ছাড়া হঠাৎ এই বিপর্যয়ে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ গ্রাহকরা। পাশাপাশি শিল্পকারখানার উৎপাদনও বিঘ্নিত হয়।
চট্টগ্রাম যেহেতু পুরোটাই এলএনজি-নির্ভর, তাই সেখানে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ ছিল। অন্য জেলায় কোথাও চুলা জ্বলেনি, কোথাও জ্বলেছে মিটমিট করে।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) হালিশহর কার্যালয়ের জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, ‘আজ শনিবার ভোররাত চারটার দিকে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। বর্তমানে গ্যাসের চাপ কম থাকলেও ধীরে ধীরে তা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’