নভেম্বরে আসছে জাতীয় ডেবিট কার্ড
বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে জাতীয় ডেবিট কার্ড চালু করতে যাচ্ছে। মূলত বিদেশি কার্ড প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা হ্রাস ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ কমাতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।
তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ১ নভেম্বর জাতীয় ডেবিট কার্ড চালু করা যাবে, তবে এখনও নিশ্চিত নয়। উদ্বোধনের তারিখ নির্ধারণ করা হলে জানানো হবে। ইতোমধ্যে এ কার্ড চালুর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক পাইলটিং করছে। সোনালি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকও প্রাথমিক পাইলট কার্যক্রমে সহায়তা করছে।
তিনি বলেন, প্রথমে জাতীয় ডেবিট কার্ড চালু করা হবে। পরে এই কার্ডে বিভিন্ন ফিচার যুক্ত করে এর মাধ্যমেই টাকা-রুপিতে লেনদেনের সুবিধা প্রদান করা হবে।
এর আগে চলতি বছরের ১৮ জুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার জানিয়েছিলেন, এখনও কোনো ধরনের কারেন্সি সোয়াপে যায়নি বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে রুপি দিয়ে বাণিজ্য করার চেষ্টা চলছে। এখন কেউ ভারত যেতে চাইলে শুরুতে টাকাকে ডলারে রূপান্তর করতে হয়, পরে ভারতে গিয়ে আবার ডলারকে রুপিতে আনতে হয়। পরপর দুবার মুদ্রা ভাঙানোর ফলে মুদ্রার মান কমে যায়।
তাই ভারত ভ্রমণে মুদ্রা বিনিময়ের ঝামেলা কমাতে চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের দিকে বাজারে বাংলাদেশে একটি ক্রেডিট কার্ড চালু করা হবে বলে জানান আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, এই কার্ড ব্যবহারে গ্রাহকরা মুদ্রা ভাঙানোর ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন।
আর ২ জুন বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছিলেন, ন্যাশনাল ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড চালুর ব্যাপারেও কাজ চলছে। এতে করে যে কেউ যেকোনো জায়গায় টাকা বহন না করেও লেনদেন করতে পারবেন।