উপাচার্য-ট্রেজারের অপসারণের দাবি, প্রশাসনিক-একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা শিক্ষক সমিতির
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে সকল প্রকার প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। সোমবার (২৯ এপ্রিল) শিক্ষক সমিতির জরুরী সাধারণ সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।
মেহেদী হাসান বলেন, ‘গতকালের যে সন্ত্রাসি হামলা উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং বহিরাগতরা শিক্ষকদের উপর চালিয়েছে তাতে স্পষ্ট যে উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ এই পদে থাকার যোগ্য না। তারা সন্ত্রাসী তাই তাদের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোনোপ্রকার শিক্ষা কার্যক্রম, প্রশাসনিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবো না। তবে ভর্তি পরীক্ষার সকল কার্যক্রম শিক্ষক সমিতির কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।’
জরুরি সাধারণ সভায় আরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়- সহযোগী অধ্যাপক ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী এবং অধ্যাপক ড. মো. রশিদুল ইসলাম শেখের শিক্ষক সমিতির সদস্য পদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। কেন স্থায়ীভাবে বাতিল করা হবে না সেই বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে। এছাড়া যে সকল শিক্ষক শিক্ষকদের উপর হামলার সাথে জড়িত তাদের কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হবে, শিক্ষকদের উপর গত ২৮ এপ্রিল যেসকল বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা হামলা করেছে তাদের শনাক্ত করে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে ছাত্রত্ব ও সার্টিফিকেট বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের নামে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি।