চমেক থেকে চুরি হওয়া নবজাতক ফেনী থেকে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২

চমেক হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া চারদিন বয়সী নবজাতককে ফেনী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর ) রাতে এক অভিযান চালিয়ে ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলা থেকে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার সুবার বাজার মনিপুর এলাকার মো. পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আক্তার (২৩) ও একই উপজেলার মৃত আইয়ুব আলীর স্ত্রী খারু আক্তার (৪২)।

চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ‘এনআইসিআইতে ভর্তিকৃত শিশু চুরির ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করি। পরে হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যালোচনা করে শিশু চুরির ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হয়।’

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. নুরুল আলম আশিক বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির বিষয়টি আমরা জানতে পারি। বিষয়টি অবহিত হয়ে হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যালোচনা করা হয়। এতে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়। পরে ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলায় অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এর সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। শিশুটির অবস্থা খারাপ হওয়ায় চমেক হাসপাতালের এনআইসিইউতে ভর্তি করা হয়।’

পুলিশ জানায়, গত ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা আবু মো. নোমান তার স্ত্রী আসমা আক্তারকে নগরীর রয়েল হাসপাতালে এক কন্যাসন্তান জন্ম দেন। মা ও নবজাতকের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শে ১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চমেক হাসপাতালের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে এবং নবজাতক কন্যাসন্তানকে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের এনআইসিইউতে ভর্তি করা হয়। চমেক হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩২ নম্বর এনআইসিইউতে ভর্তি করা পিতামাতা ও আত্মীয়স্বজনদের প্রবেশের অনুমতি থাকে না। এ কারণে শিশুর আত্মীয়স্বজন বাইরে অবস্থান করেন। ১৯ ডিসেম্বর দুপুর ২টার পর স্বজনরা নবজাতকটিকে দেখতে এনআইসিইউতে যান । সেখানে তাকে ৩১ নম্বর বেডে দেখতে না পেয়ে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার, নার্স ও সিকিউরিটিকে বিষয়টি অবহিত করেন।