পটিয়ার স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর প্রচারণায় আবারো হামলা
জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর প্রচারণায় আবারো হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সামশুলের ভাই মুজিবুল হক নবাবের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকরা এ হামলা করেছেন।
তিনি জানান, ‘বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা এলাকায় গণপ্রচারে গেলে মোতাহেরুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা সামশুল ও তার নেতাকর্মীদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এসময় ১৫ জন আহত হন।’
এসময় মোতাহেরুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা সামশুলের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নবাব আরও বলেন, ‘এর আগে, সকালে পটিয়ার শান্তিরহাট এলাকায় গণপ্রচারে গেলে সামশুলের ওপর হামলা হয়।’
এসময় সামশুলের আরেক ভাই ফজলুল হক চৌধুরীসহ পাঁচজন আহত হন বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) আরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ‘হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাঙচুরের আলামত পায়, তবে দুর্বৃত্তরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি চালিয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
এ বিষয়ে জানতে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সামশুলের প্রচার শুরু হওয়ার পর নৌকার স্লোগান নিয়ে ২০ থেকে ২৫ জন ব্যক্তি ঝাড়ু ও জুতা নিয়ে শান্তিরহাটে ভিড় করেন। পরে তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করেন।
তবে হামলাকারীরা নৌকার কেউ নন বলে দাবি করেছেন মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আ ক ম সামশুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘কারা হামলা করেছেন, তা জানি না।’
পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে চট্টগ্রাম-১২ আসন। এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন নয়জন। তবে এই আসনের নির্বাচনে তিনবারের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
১৮ ডিসেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে প্রচারণা ঘিরে দুই মূল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে অন্তত ২০ বার হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর হয়েছে মাইক ও যানবাহন।