নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টাইগারদের দাপুটে জয়

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এক দাপুটে জয় পেলো বাংলাদেশ। ন্যাপিয়ারে কিউদের ৯ উইকেটে কিউইদের হারিয়েছে টাইগাররা।

টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৩১ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৯৮ রানে থামে নিউজিল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রান করে উইল ইয়াংয়। বল হাতে ৩টি করে উইকেট শিকার করেন তানজিম সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার। জবাবে খেলতে নেমে এক উইকেট হারিয়ে ১৫ ওভার ১ বলে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ৫১ রান করে অপরাজিত থেকেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

এ ঐতিহাসিক জয়ের দিনে বেশ কিছু রেকর্ডও হয়েছে। দেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয়বার কোনো ইনিংসে অলআউট হলো নিউজিল্যান্ড। এর আগে ২০১৬ সালে নেলসনে ২৫১ রানে অলআউট হয়েও নিউজিল্যান্ড জিতেছিল ৬৭ রানে। তবে এবার শেষ হাসিটা টাইগারদের মুখে ছিল।

৯৯ রানের লক্ষ্যে নেমে পঞ্চম ওভারে মাঠ ছাড়তে হয় আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সৌম্য সরকারকে। দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ৫০ বলে ৬৯ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন শান্ত। জয় থেকে যখন ১৫ রান দূরে তখন উইলিয়াম ও’রোর্কের শিকার হন বিজয়। ৩৩ বলে ৭ চারে সাজান নিজের ৩৭ রানের ইনিংসটি। এরপর লিটনকে নিয়ে বাকি পথটুকু অনায়াসেই পাড়ি দেন শান্ত। অশোকের প্রথম বলে ডাবল নিয়ে শান্ত ২০৯ বল বাকি রেখেই ৯৯ রানের লক্ষ্যটা ছুঁয়ে ফেললেন, তাতে দলের জয় নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ অধিনায়ক পেয়ে যান হাফ সেঞ্চুরির দেখা।

বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন স্কোর গড়েছে নিউজিল্যান্ড। এর আগে সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ১৬২, মিরপুরে। সব মিলিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি তাদের শতরানের আগে গুটিয়ে যাওয়ার নবম ঘটনা।

সৌম্য-শরিফুল-তানজিমদের দিনে মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন বিবর্ণ। সৌম্য, শরিফুল ও তানজিম নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। ৭ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন তানজিম। শেষ ব্যাটার ও’রোর্কেকে ফিরিয়ে মোস্তাফিজ একটি উইকেট নেন।