জাদরানের শেষ ঝড়ে জয় চট্টগ্রামের

তানজিদ হাসান তামিম ফিফটি বঞ্চিত হয়েছেন। ১ রানের জন্য আফসোসে ভাসিয়েছেন তাকে পেসার তাসকিন আহমেদ। তবে শেষ বেলা নাজিবুল্লাহ জাদরান ঝড় তুলেছেন। তাতে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ১০ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জিতল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩৬ রানের পুঁজি পায় দুর্দান্ত ঢাকা। জবাব দিতে নেমে ১১ বল হাতে থাকতেই ৬ উইকেটের বড় জয় পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও ইনিংস বড় করতে পারেনি চট্টগ্রামের ওপেনার আভিষ্কা ফার্নান্দো। ৬ বলে ১২ রান করে আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি উইকেটরক্ষক ব্যাটার ইমরানুজ্জামানও। তবে শাহাদাত হোসেন দিপুকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তানজিদ হাসান তামিম।

৩১ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরেন শাহাদাত। ওসমান কাদিরের বলে ক্যাচ আউট হন এই ডান হাতি ব্যাটার। এরপর ১ রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন তামিম। ৪০ বলে ৪৯ রান করে তাসকিনের বলে ক্যাচ আউট হন এই বাঁহাতি ওপেনার।

শেষ দিকে শুভাগত হোমকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট চালাতে থাকেন আফগান তারকা নাজিবুল্লাহ জাদরান। শুভাগতর ১১ বলে ৭ রান এবং জাদরানের ১৮ বলে ৩০ রানের দুর্দান্ত ফিনিসিংয়ে ১১ বল ও ৬ উইকেট হাতে থাকতেই জয়ের বন্দনে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি রাজধানীর দলটি। ৯ বল খেলে এক রান করে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন লঙ্কান ব্যাটার দানুশকা গুণাতিলকা। এরপর ৯ বলে ৯ রান করে আল আমিনের বলে ক্যাচ তুলে দেন সাইফ হাসান।

এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও। ৬ বলে শূন্য রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। মোহাম্মদ নাঈম ফেরেন ৮ রান করে। অন্যদিকে এই ম্যাচে সবার নজর ছিল প্রথমবার বিপিএল খেলতে আসা অজি ব্যাটার অ্যালেক্স রোসের উপর।

তবে বিপিএলের শুরুটা রাঙাতে পারেন তিনি। ৯ বলে ১১ রান করে মিরপুরে পিচের চরিত্র বুঝে ওঠার আগেই রান আউটে ফাঁদে পড়েন এই ডান হাতি ব্যাটার। দলীয় ৩৩ রানে টপ অডারের চার ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে ঢাকা।

এরপর গুণাতিলকার বদলি হিসেবে খেলতে নামা লাসিথ ক্রসপুলেকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন ইরফান শুক্কুর। দুজনের নিয়ন্ত্রণ ব্যাটিংয়ে এগিয়ে যেতে থাকে দুর্দান্ত ঢাকা। তবে ফিফটি পূরণের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন ক্রসপুলে। ৩১ বলে ৪৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন এই ডান হাতি ব্যাটার।

তিন রান করে চতুরাঙ্গা আউট হলে, ২৬ বলে ২৭ রান করে তাকে সঙ্গ দেন শুক্কুর। বেলাল খানের বলে বোল্ড আউট হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত তাসকিনের ৯ বলে ১৫ রান এবং ওসমান কাদিরের অপরাজিত ৭ বলে ৫ রানে ভর করে ১৩৬ রানের লড়াকু পুঁজি পায় দুর্দান্ত ঢাকা।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে আল আমিন ও বিলাল খান দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও শুভাগত হোম, নাহিদুজ্জামান ও কার্টিস ক্যাম্ফার একটি করে উইকেট নেন।