ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধায় স্মরণ করলেন চট্টগ্রাম

একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করলেন চট্টগ্রামের রাজনৈতিক, পেশাজীবী ও সামাজিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ১ মিনিটে পুলিশের সশস্ত্র অভিবাদনের মধ্য দিয়ে শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

এরপর মিছিলে মিছিল প্রকম্পিত হয় নিউমার্কেট, জুবিলি রোড এলাকা। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’- শহিদ মিনার ঘিরে সমবেত কণ্ঠে কালজয়ী সেই গান’ গেয়ে শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষ।

প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

এরপর বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডিআইজি নূরে আলম মিনা, জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার (এসপি), মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নগর ও জেলা কমান্ড নেতারা ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।

দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন ও সাবেক সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদ।

ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি তপন চক্রবর্তী, সিনিয়র সহ-সভাপতি রুবেল খান, সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মহররম হোসাইন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজ) সদস্য আজহার মাহমুদ, প্রতিনিধি ইউনিট প্রধান সোহেল সরওয়ার ও টিভি ইউনিট প্রধান তৌহিদুল আলম।

শ্রদ্ধা জানান চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ শাহরিয়ার, ক্রীড়া সম্পাদক সোহেল সরওয়ার, গ্রন্থাগার সম্পাদক কুতুব উদ্দিন, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক আল রাহমান প্রমুখ।

সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার দক্ষিণ নোবেল চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, শহীদ মিনার এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ১৮০ জন পুলিশ সদস্য মিউনিসিপ্যাল স্কুল এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন। রয়েছেন সোয়াট টিমের ছয়জন সদস্য। এছাড়া সিটিএসবি, ডিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, দোকান ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বাংলা নামফলক নিশ্চিতে অভিযান চালিয়েছি। অনেককে জরিমানা করেছি। ফলে কমে আসছে ইংরেজি নামফলক। ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের সময় এ বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সর্বস্তরের শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী নেতারা জানিয়েছেন নবনির্মিত চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার দৃশ্যমান হয়নি। এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে আমরা নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতিদের সঙ্গে সভা করেছি। তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন। শহীদ মিনার যতদিন দৃশ্যমান হবে না, আমরা মিউনিসিপ্যাল স্কুলে শ্রদ্ধা জানাব। শহীদ মিনার দৃশ্যমান হলে সেখানে শ্রদ্ধা জানাব।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী ও সিনিয়র সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।